Trust BD IT

Content Writing Services

কন্টেন্ট রাইটিং কি ?

কনটেন্ট রাইটিং হল এমন এক ধরণের রাইট আপ যা কোন ওয়েবসাইট বা পেজ বা কোন পণ্য বা বিষয়ের বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করে। অনেক একে আর্টিকেল রাইটিংও বলে থাকে। যেমন, আপনি যদি ইন্টারনেটে কোন প্রোডাক্ট বা কোন বিষয় নিয়ে সার্চ করেন তাহলে ফলাফল হিসেবে যে বিবরণগুলো পান সেগুলোই হল কনটেন্ট। বাংলাতে যদি কন্টেন্ট এর মানে বলা হয় তাহলে সেটা হলো “বিষয়বস্তু“. লেখনের উদ্দেশ্যে যদি কনটেন্ট এর কথা বলা হয় তাহলে কনটেন্ট বলতে, “আপনি যেটাই লিখছেন বা নিজের কৌশলের মাধ্যমে যেই বিষয়বস্তু তৈরি করছেন সেটাকেই একসাথে কনটেন্ট বলা যেতে পারে”.

উদাহরণ স্বরূপে, যদি আপনি নিজের অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞান এর ব্যবহার করে একটি আর্টিকেল লিখেছেন, তাহলে সেটাকে কনটেন্ট বলা যেতে পারে। বা, ধরুন আপনি নিজের ক্যামেরার মাধ্যমে একটি ভিডিও রেকর্ড করলেন এবং সেখানে কিছু তথ্য ইত্যাদি যোগ করে ভালো করে এডিট করলেন, তাহলে সম্পূর্ণ ভিডিওটিকে একটি ভিডিও কনটেন্ট বলা যেতে পারে। এমনিতে কনটেন্ট বলতে কেবল লেখন (writing) এর মাধ্যমে তৈরি করা বিষয়বস্তু কে বলা
হয়না। কনটেন্ট বলতে আমরা ৪ রকমের বিষয় বুঝতে পারি,

 Audio content: ভয়েস বা শব্দের উচ্চারণ এর মাধ্যমে তৈরি বা রেকর্ড করা কনটেন্ট। যেমন, podcast, FM ইত্যাদি।

 Video content: ভিডিওর মাধ্যমে তৈরি করা কনটেন্ট গুলোকে ভিডিও কন্টেন করা হয়। যেমন, YouTube video, web series, movies ইত্যাদি।

 Text content: যেই কনটেন্ট গুলোকে লেখনের মাধ্যমে তৈরি করা হয় সেগুলোকে টেক্সট কনটেন্ট বলে। যেমন, article, books ইত্যাদি।

 Image content: ছবি এডিটিং করে তৈরি করা বিষয়বস্তু গুলোকে ইমেজ কনটেন্ট বলে। যেমন, logo, templates, graphics ইত্যাদি।

কন্টেন্ট রাইটিং এর প্রকার ?

(Types Of Content Writing) হে অবশই, কন্টেন্ট রাইটিং এর কিছু আলাদা আলাদা প্রকার অবশই রয়েছে ইন্টারনেটের মধ্যে প্রচুর প্লাটফর্ম রয়েছে যেগুলোতে আলাদা আলাদা রকমের কনটেন্ট গুলোকে প্রচার করা হয়। আর ফলে বিভিন্ন প্লাটফর এর চাহিদা অনুযায়ী তৈরি হয়ে থাকে আলাদা আলাদা রকমের
কনটেন্ট গুলোর। একজন কনটেন্ট রাইটার হিসেবে আপনি নিজের রুচি, চাহিদা বা প্যাশন হিসেবে আলাদা আলাদা ধরণের কনটেন্ট তৈরি করতে পারবেন।
যেমন, 

1. Blogging: এখানে সরাসরি কিছু বিশেষ বিষয় গুলোর ওপরে বিস্তারিত আর্টিকেল লেখা ও পাবলিশ করা হয়। মূলত তথ্যবহুল এবং লং (long) বা শর্ট (short) দুধরণের আর্টিকেল / কনটেন্ট লেখা হয় ব্লগিং এর ক্ষেত্রে।

2. Social media: একটি কোম্পানি তাদের content, product, services ইত্যাদির প্রচার করার ক্ষেত্রে এবং অনেক ক্ষেত্রে নিজের অনলাইন ব্র্যান্ড তৈরি করার উদ্দ্যেশ্যে তাদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজ গুলোতে ছোট-ছোট তবে মজার এবং আকর্ষক কনটেন্ট লিখেন এবং পাবলিশ করেন।

3. Copywriting: মূলত একটি কোম্পানি বা কোম্পানির প্রোডাক্ট গুলোর এডভার্টাইসিং বা মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে এই ধরণের কনটেন্ট লিখা হয়। এখানে যেই product এর বিষয়ে লেখা হয় সেটাকে copy বা sales copy বলা হয়। এই আর্টিকেল লেখার উদ্দেশ্য হলো, ব্র্যান্ড এর গুণমান এর সচেতনতা বাড়ানো যাতে জনসাধারণেরা সেই প্রোডাক্ট কেনার ক্ষেত্রে স্টেপ নিয়ে থাকেন।

4. Expert writing: এক্ষেত্রে রাইটার রা কিছু বিশেষ বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে সম্পূর্ণ রিসার্চ এবং ডিটেলস সহ আর্টিকেল/কনটেন্ট লিখেন।

5. Journalistic/news writing: এক্ষেত্রে নিউজ (news) এর সাথে জড়িত খবরাখবর গুলো লিখা হয়। এক্ষেত্রে মূলত ছোট ছোট শর্ট আর্টিকেল লিখা হয় যেগুলো
বর্তমানের দৈনন্দিন জীবনের ঘটনাবলীর সাথে জড়িত। বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টাল, সোশ্যাল মিডিয়া নিউজ পেজ, নিউজ ওয়েবসাইট ইত্যাদি গুলোতে নিউজ রাইটিং করা হয়।

6. Creative writing: যেগুলো লেখনে রাইটার নিজের ক্রিয়েটিভিটির (creativity) প্রদর্শন করে থাকে সেই ধরণের রাইটিং কেই ক্রিয়েটিভ রাইটিং বলা হয়। যেমন, poetry, fiction (novels, short stories), scripts, screenplays ইত্যাদির ক্ষেত্রে লেখা কনটেন্ট। বর্তমানের অনলাইন ব্যবসা গুলোর প্রচার, মার্কেটিং বা ব্র্যান্ডিং এর উদ্দেশ্যে এই প্রত্যেক কন্টেন্ট রাইটিং এর প্রকার গুলোকে প্রচুর পরিমানে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এছাড়াও নিজের ব্যক্তিগত রুচি এবং ইন্টারেস্ট এর ক্ষেত্রেও এগুলোর মধ্যে অনেক ধরণের
কন্টেন্ট রাইটিং এর ব্যবহার হয়ে থাকে।

 

01771-760258